ডিজিটাল মার্কেটিং টিউটোরিয়াল – পৃথিবী সৃষ্টি পর থেকেই মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবসা বাণিজ্যের প্রচলন চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।তখনও মার্কেটিং তথা বিপণন বাবস্থা ছিল তবে বর্তমান সময়ের মত না। আদি কালে মার্কেটিং হত তবে ভিন্ন ভাবে, যখন বনিক গণ একত্রে বিভিন্ন দেশ থেকে মালামাল কিনতে যেতেন তখন , পাইকারি বিক্রেতা গণ তাদের থাকা, খাওয়ার ব্যাবস্থা করতেন , তাদের সাথে বন্ধু সুলভ ভালো আচরণ করতেন। এটাই ছিল তাদের মার্কেটিং পদ্ধতি। পরবর্তীতে, বণিক গণ তাদের মধ্যে আলোচনা হতো অমুক দেশের অমুকের দোকানে তুলনা মূলক কম দামে ভালো জিনিস পত্র পাওার যায়।এভাবেই মার্কেটিং তথা কোম্পানির প্রচারণা হতো।
বিনিময় প্রথা পার হয়ে সভ্যতার যুগেও এই প্রচলন ছিল। আজ থেকে ৪০~৫০ বছর আগেও এর সাথে লিফলেট, ব্যানার ও প্রিন্ট মিডিয়া গুলো ব্যবহার করা হতো। আজ আমরা ডিজিটাল সভ্যতার যুগে প্রদর্পন করেছি।
এই ডিজিটাল সভ্যতার যুগে মার্কেটিং সিস্টেম পুরোটাই ভিন্ন।আপনার বিসনেস চাইলেই বাসায় বসেও পরিচালনা করতে পারবেন। শুধু থাকতে হবে একটা কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ , ইন্টারনেট লাইন ও একটা স্মার্ট ফোন, ব্যাস আপনার ব্যবসা স্টার্ট করতে পারবেন।
আপনাকে কোথাও যেতে হবে, বাসায় বসেই মার্কেট রিসার্চ করে পণ্য কিনতে পারবেন, পণ্য বিক্রি করতে পারবেন এবং পণ্য ডেলিভারিও দিতে পারবেন। এই কাজ গুলো করতে হলে শুধু থাকতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং জ্ঞান।
আরও পড়ুনঃ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ৬ টি সহজ পদ্ধতিতে অর্থ উপার্জন!
[lwptoc min=”2″ depth=”6″]
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল এবং মার্কেটিং, দুটো শব্দের অর্থ ভিন্ন । এক্ষেত্রে, Digital মানে হলো তথ্য প্রযুক্তি, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, বা যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস (Electronic Device) এর মাধ্যমে কাজ সম্পাদন করা।
অপরদিকে, মার্কেটিং বলতে আমরা বুঝি, কোন পন্য বা সেবা সমূহকে বিজ্ঞাপনসহ বাজার গবেষনা ও Publicity Campaign এর মাধ্যমে বিক্রয় করার পক্রিয়াকেই মার্কেটিং বলে থাকি।
আর ডিজিটাল মার্কেটিং হল ডিজিটাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তি কে ব্যবহার করে অনলাইন তথা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা বিক্রয় করা বা প্রচার প্রচারণা পরিচালনা করা মাধম এগুলোই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
১৯৯০ এবং ২০০০ এর দশকের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিকাশ ব্র্যান্ড এবং ব্যবসাগুলি মার্কেটিং এর জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও পদ্ধতিকে বাপক পরিবর্তন এনেছে।
বিভিন্ন Business Forum, Organigation ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আলোচনা ও মতামত থেকে জানা যায় যে ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্য ডিজিটাল মার্কেটিং প্রতিটা প্রতিষ্ঠানের জন্য হবে অপরিহার্য। জব সেক্টরে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।যার নাম হবে ডিজিটাল বিপ্লব।বর্তমানেও অনেক প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট নিয়োগ দিচ্ছে। কোয়ালিটি উপর নির্ভর করে এই সেক্টরে বেতন ও অন্য অন্য সুবিধা থাকছে। আমার দেখা মোতে অনেক ডিজিটাল মার্কেটার আছেন যারা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা স্যালারি পাচ্ছেন। এটা Day by Day বৃদ্ধি পাবে।এই মার্কেট চরম প্রতিযোগিতার মার্কেট, তাই আপনাকে এই ক্রিয়েটিভ সেক্টরে টিকে থাকতে হলে, সর্বদা মার্কেট রিসার্চ ও গবেষণায় থাকতে হবে।
বর্তমান বিশ্বে ৭৫০+ কোটি মানুষের মধ্য বর্তমানে ৪০০ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং তার মধ্যে ৩০০ কোটির বেশি মানুষ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। ( সূত্র- statista.com )
সেখানে বাংলাদেশের ১৮+ কোটি জনগনের প্রায় ৯ কোটি মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। সেই সাথে সবচে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ব্যবহারকারী সংখ্যা ৩ কোটি। যেখানে ২০১২ সালে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৩২ হাজার ( সূত্র- btrc.gov.bd ) । আর সে সময়ে ফেসবুকের ব্যবহারকারী ছিল তো গুটি কিছু মানুষ । এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায় কেন দিন দিন ডিজিটাল মার্কেটিং এত প্রয়োজনীয়তা বারছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং ও প্রচলিত মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য
কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তার পণ্য বা সার্ভিস এর জন্য গ্রাহক খুজে বের করার জন্য তারা সব থেকে সহজ মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয় ( টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র ইত্যাদি) এটাকেই প্রচলিত (Traditional ) মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে।
কিন্ত বর্তমান সময়ে এই মাধ্যম থেকে সব থেকে জনপ্রিয় ও শক্তিশালী মাধ্যম হল ইন্টারনেট ভিত্তিক ইলেক্ট্রনিক মার্কেটিং যার নাম দেয়া হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং।এই ইলেক্ট্রনিক তথা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার টার্গেট কাস্টমার খুজে পাবেন যা Traditional Marketing এর দ্বারা সম্ভব না।
১। সাধারণত টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র, বিভিন্ন সাইজের ব্যানার, ফেসটুন, লিফলেট, ইত্যাদির মাধ্যমে পন্য প্রচার প্রচারনাটা হলো ট্রাডিশনাল মার্কেটিং।
অপরদিকে, ডিজিটাল উপায়ে পণ্যর বিজ্ঞাপন যেমন- ফেসবুক, ইউটিউব, সহ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া, ইমেইল মার্কেটিং ও জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে পন্যর প্রচার প্রচারনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
২। ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এ টাকার ব্যায়ের পরিমান অনেক বেশী হয়ে থাকে।
পক্ষান্তরে ডিজিটাল মার্কেটিং এ টাকার ব্যায়ের পরিমানের তুলনায় ভাবে অনেক কম।
৩। ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের এর ফলাফল হিসেবে এর কোন পরিপূর্ণ ডাটা পাওয়া যায় না।
অপরদিকে, ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্মের ক্ষেত্রে এ সকল ডাটা পাওয়া যায়।
৪। ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর দ্বারা টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে বিজ্ঞাপন প্রচার করা সম্ভব নয়।
কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে টার্গেটেড কাস্টমারের নিকট বিজ্ঞাপন প্রচার করা যায়।
৫। ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর মাধ্যম অনেক কম এবং দিন দিন কার্যকারিতা হারাচ্ছে।
অন্য দিকে, ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যম অনেক বেশি এবং দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৬। ট্রাডিশনাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বিলিয়ন ডলারের বিজনেসে পরিণত হতে অনেক দিন সময় লাগবে।
পক্ষান্তরে, ডিজিটাল মার্কেটিং ( ই-কমার্স বিজিনেসের ) মাধ্যমে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত হওয়া অনেক কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান বিলিয়ন ডলারের বিজনেসে পরিণত হয়েছে।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় Pathao –Transport Company এর কথা। তারা মার্চ, ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করেছিল শুধু একটা আপসের মাধ্যমে এবং তারা তাদের সার্ভিসের প্রধান প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছে বিভিন্ন Social Media সাইটের মাধ্যমে। যার ফলে তাদের বর্তমান মার্কেট ভ্যালু প্রায় 100 Million ডলারের ও বেশি। এছাড়া বিদেশি কোম্পানির মধ্যে Ali Express – Online Retail Service অন্যতম উদাহরণ।
আরও পড়ুনঃ লাইক, কমেন্ট ও সাবস্ক্রাইব করে উপার্জন করুন শত ডলার । ডাটা এন্ট্রি কাজ । পেমেন্ট বিকাশে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা
৬।ব্যবসার গতিবিধি খুব সহজে বুঝা যাজায়।
ব্যবসায়ের উপর ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রভাব কেমন?( What is the impact of digital marketing on business? )
আপনি একটু ভেবে দেখুন তো, আপনি যে Traditional Markeing ( প্রচলিত মার্কেটিং) জেমনঃ পোস্টার/ব্যানার/লিফলেট/বিলবোর্ড/মাইকিং/টিভি বা রেডিও বিজ্ঞাপন/পত্রিকা বিজ্ঞাপন/দেয়াল লিখন/অফিস ভিজিট ইত্যাদি করছেন এতে কি, আপনি টার্গেট কাস্টমার পাছেন? অথবা কতটা সময় এবং অর্থ বাঁচেন পারছেন।লোকবল কতটা কমে এই প্রচলিত মার্কেটিং করতে পারছেন।আদও হচ্ছে না, এই প্রচলিত মার্কেটিং এ যেমন খরছ বেশি তেমনি জনশক্তি বেশি লাগে।
ধরুন, আপনি শুধুমাত্র ছেলেদের পণ্য বিক্রি করবেন এবং ২০-২৮ বছর এর বয়সীদের জন্য অথবা একটা রেস্টুরেন্ট দিয়েছেন উত্তরাতে আপনি মার্কেটিং করেতে চান শুধু উত্তরা এলাকার সেক্ষেত্রে আপনি Traditional Marketing ( প্রচলিত মার্কেটিং) কতটা সেল করতে পারবেন। Traditional Marketing পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপন এর খরচ অনেক বেশি এবং সব ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে এখানে বিজ্ঞাপন দেয়া সম্ভব নয়। সুতরাং আপনি বুঝতেই পারছেন, প্রচলিত মার্কেটিং এর সমস্যাগুলো কতটুকু।
কিন্তু Digital Marketing পদ্ধতিতে, আপনি অনলাইন এ E-Shop খুলতে পারবেন, টার্গেট করে Advertising করতে পারবেন।দেশের যে কোন প্রান্তের মানুষকে টার্গেট করে পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। Customar Data Collect করতে পারবেন পরবর্তীতে, নতুন নতুন অফারগুলো খুব সহজেই তাদের কাছে ফ্রী Advertising করতে পারবেন।
বর্তমানে ইন্টারনেট সেবা ও স্মার্ট ফোন প্রতান্ত অঞ্চলেও ছরিয়ে পরেছেন, মানুষ টিভি এখন কমি দেখে, আমার কথাই বলি লাস্ট কবে আমি টেলিভিশন দেখেছি বলতে পারব না তবে ইন্টারনেট তথা Social Media তে দিনে নাও হলে ৩ থেকে ৫ ঘনটা থাকতে হয়। দেয়াল লিখন বতমান যুগে সেকেলের এটা কম মানুষই দেখে তার উপর দেখা যায় To-Let লাগান। লিফলেট এর কথা যদি বলেন তাহলে দেখবেন হাতে নিয়েই ফেলে দেয়। সে ক্ষেত্রে একজন মার্কেটার হিসেবে অথবা ব্যবসায় প্রসারের জন্য, আপনাকে অবশ্যই Digital Marketing পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত।
আরও পড়ুনঃ কচ্ছপ গতির কম্পিউটারকে করে ফেলুন সুপার ফাস্ট
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? | ডিজিটাল মার্কেটিং ও প্রচলিত মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য | ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা
কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করবেন?
Digital Marketing করার জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু এমন কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো আমাদের digital marketing এর ক্ষেত্রে লাগবেই। তো আমরা আজকে জানবো digital marketing এ যে বিষয় গুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলো সম্পর্কে।
তো চলুন , এক নজরে Digital Marketing এর সেরা ৮ টি মাধ্যম সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেই।
- Search Engine Optimization (SEO)
- Content Marketing (CM)
- Social Media Marketing(SMM)
- Digital Display Marketing (DDM)
- Mobile Marketing (MM)
- Email Marketing (EM)
- Affiliate Marketing (AM)
আরও পড়ুনঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে আমাদের ধ্বংস করতে পারে – স্টিফেন হকিং – Artificial Intelligence
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( Search Engine Optimization – SEO)
Search engine optimization মুলত এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যেমে কোন ওয়েব সাইটের কিওয়ার্ডকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করানো হয় । আমরা যদি উদাহরন দিয়ে বলি তাহলে, আমরা সবাই কম বেশি Google.com এ সার্চ করে থাকি বিভিন্ন প্রয়োজনে ব ইনফরমেশন এর জন্য, তখন গুগল ওই লেখা কিওয়ার্ড এর সাথে মিল রেখে আমাদেরকে কিছু সার্চ রেজাল্ট দেখায় নিচের ছবিগুলোর মত ।
উপরের ছবিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে “ব্যবসায়ের উপর ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রভাব কেমন” এইটা লিখে সার্চ করার পরে Google আমাদেরকে কিছু সার্চ রেজাল্ট দেখিয়েছে । এখন যদি বলি, আপনি সবার আগে কোন রেজাল্টে ক্লিক করবেন? আমার মনে হয় ১ থেকে ৫নাম্বার পর্যন্ত আর যদি আরও প্রয়োজন হয় তাহলে ১০ পর্যন্ত আরও বেশি প্রয়োজন হয় তাহলে ২ পাতা পর্যন্ত দেখে থাকি । আমাদের সবারি বিশ্বাস গুগল কখন সজন প্রীতি করে না অথেনটিক result প্রথমে show করে থাকে। তাই অধিকাংশ ইউজারদের মত , সবচেয়ে উপরের রেজেল্টটাতে ক্লিক করে থাকেন।
অর্থাৎ গুগল টপ পজিশনে থাকার করণে প্রথন লিংকটাতেই সবচেয়ে বেশি ক্লিক পরে থাকে। আর গুগল সহ অন্য সার্চ ইঞ্জিনে আপনার Website কে টপ পজিশনে রাখার একমাত্র মাধ্যম হল SEO ।
এসইও র অনেক গুলো মাধ্যম রয়েছে এ গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব অন্য এক পোস্টে । আশা করি সাথেই থাকবেন।
কন্টেন্ট মার্কেটিং ( Content Marketing – CM )
যে কোন বিষয় অথবা বস্তু সম্পর্কে একটি সাজানো গছানো কন্টেন্ট তথা আর্টিকেল লেখা মানে ওই বাক্তি, বস্তু বা বিষয়ের মান বাড়াতে সাহায্য করে। আপনার আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, যাতে পণ্যের ডিসকাশনে আপনার টার্গেট কিওয়ার্ডের উপস্থিতি থাকে, যাতে করে খুব সহজে আপনার টার্গেট পাঠক বা ক্রেতা আপনার পণ্যকে খুঁজে পায়। তাই সময় সাথে সঙ্গতি রেখে মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট গুলোকে আপডেট রাখা উচিৎ। সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে আর্টিকেল পোস্ট করার ক্ষেত্রে অটোমেটিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করা উচিৎ।
আমরা যদি উদাহরণ দিয়ে বলি, ইলেক্ট্রনিক পণ্যের জন্য বিষয় বস্ত সহজ এবং সংক্ষিপ্ত করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার একটি কার্যকর কৌশল পাঠক বা ক্রেতাকে আকৃষ্ট করবে এবং আরো তথ্য জানতে, আপনার পোস্ট পেতে অপেক্ষা করবে। ভাল Content লেখার মাধ্যমে খুব শহজে আপনার ব্র্যান্ডিং করতে পারবেন। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ভালো কন্টেন্ট রাইটার হওয়া উচিৎ। একজন ভাল মানের কন্টেন্ট লেখক প্রতিমাসে ( দের থেকে দুই লাখ ) টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন।
এই বিষয় নিয়ে, বিস্তারিত আলোচনা করব অন্য এক পোস্টে । আশা করি সাথেই থাকবেন। অথবা Visite করুন ( Apon Academy Youtube Channel )
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ( Social Media Marketing – SMM )
বর্তমান বিশ্বে ৭৫০ কোটি মানুষের মধ্য বর্তমানে ৪০০+ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং তার মধ্যে প্রায় ৩৫০ কোটির মত মানুষ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন । ( সূত্র- statista.com )
এই বিশাল জন গোষ্ঠীর কাছে খুব সহজে পৌঁছানোর এক্ মাত্র মাধ্যম হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সাধারণত Social Media Marketing বলতে আমরা বুঝি, Facebook, Youtube, Instagram, Twitter,Linkedin, Tumblr, Pinterest সহ আরও অনেক Social Media ব্যবহার করে মার্কেটিং। বর্তমান বিশ্বে Social Media Marketing এর মধ্যে ফেসবুক, ইন্সত্রাগ্রাম ও ইউটিউব অনেক বেশি কার্যকরী।
Social Media Marketing আবার ২ প্রকার।
- Paid Marketing
- Free Marketing
Social Media Maketing নিয়ে, বিস্তারিত আলোচনা করব অন্য এক পোস্টে । আশা করি সাথেই থাকবেন। অথবা Visite করুন ( Apon Academy Youtube Channel )
ইমেইল মার্কেটিং ( Email Marketing -EM )
Email এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সার্ভিসের মার্কেটিং করাকে সাধারন ভাবে Email Marketing বলা হয়ে থাকে ।
তবে, Email Marketing হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে কোম্পানি তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য, ঐ নির্দিষ্ট বিষয়ের সাথে জড়িত বা এই বিষয় গুলো পছন্দ করেন এমন বাক্তিদের ইমেইল কালেক্ট করে, তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে ঐ বিষয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের Promotional ইমেইল পাঠানো হয়ে থাকে।
ইমেইলে গ্রাহকের কাছে পণ্যের গুণাগুণ তুলে ধরা হয়ে থাকে, এর ফলে ক্রেতাকে ওই পন্য ক্রয়ে আগ্রহী করে তলে। Email Marketing এর মাধ্যমে অল্প সময়ে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। স্মার্ট ইমেইল প্রেরণের মাধ্যমে ব্যবসায় লাভবান হওয়া সম্ভব।
Email Marketing করার জন্য যে ২ টি বিষয় খুব গুরত্বপুর্ন ।
- Optin Form
- Email Marketing Service
Email Marketing সাধারণত তিনটি ধাপে করা হয়ে থাকে –
- Email Template
- Email Collection
- Email Send
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য জনপ্রিয় সফটওয়্যার গুলো হচ্ছেঃ
- Aweber
- Mail Chimp
- Get Response
ইমেইল Collect এর জন্য জন্য যে বিষয় গুলো জানা থাকতে হবে।
যেমনঃ
- eBook
- Cheat sheet of tips or resource
- Free webinar
- Coupon ইত্যাদি।
এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing – AM )
Affiliate Marekting হচ্ছে এমন একটি প্রধতি, যেখানে আমাদের নিজেদের কোন প্রোডাক্ট নেই, আপনি সেখানে অন্য কোন ব্যক্তি বা তাদের ওয়েবসাইট থেকে আলোচনা সাপেক্ষে কোন প্রোডাক্ট নিয়ে নিজের ওয়েবসাইট বা পেজ এর মাধ্যমে প্রমোট করা এবং আপনার প্রমোট করা লিংক থেকে ক্লিক করে ঐ প্রোডাক্ট টি ক্রয় করে তাহলে আপনি সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কিছু টাকা কমিশন পাবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে মূলত ৩ টা বিষয় জড়িত।
- Merchants Or Advertiser
- Networks (Click Bank, Commission Junction, Amazon Affiliate)
- Publisher
আরও পড়ুনঃ প্রেমিকার স্থান দখলে নিচ্ছে সেক্স রোবট – বিপর্যয়ে মানব সভ্যতা – যৌন কর্মীর ভূমিকায় রোবট
উপসংহার
মূল কথা হচ্ছে যদি আমরা Digital Marketing এর কথা চিন্তা করি তাহলে অবশ্যই আমাদের উপরের বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে।
Digital Marketing- অতি গুরুত্ব পুরনো অধ্যায় eCommenrce Industy জন্য। 2027 সালের মধ্য Traditional Marketing থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং হবে অনেক বেশি Effective ও শক্তিশালী মাধ্যম। কর্মসংথান হবে হাজার হাজার । Business প্রসারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং জানা জরুরী।
এই সব ছাড়াও, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্র আরো ব্যপক ও বিশাল হচ্ছে। Digital World এর Digital সব প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব প্রতিনিয়িত এগিয়ে যাচ্ছে দুরবার গতিতে। কিন্তু প্রতিটি মাধ্যমে সফলতা পেতে হলে থাকতে হবে সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করা মন – মানুশিকোঁতা। Digital Marketing এর প্রতিটি সেক্টরের জন্য রয়েছে ভীন্ন ভীন্ন কৌশল।
Also More:
ডিজিটাল মার্কেটিং বাংলাদেশ, ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব, ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়, ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ, ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার, ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব, ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়, ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবো, কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়, ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন, ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স, ডিজিটাল মার্কেটিং টিউটোরিয়াল, মার্কেটিং কত প্রকার ডিজিটাল মার্কেটিং কেন ডিজিটাল মার্কেটিং PDF ডিজিটাল মার্কেটিং ব্লগ Digital marketing কী ডিজিটাল বিপণন কি ডিজিটাল মার্কেটিং জব ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কিভাবে উপার্জন করব