ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কি ধরনের কম্পিউটার প্রয়োজন হয় ?

Share Now!

ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কি ধরনের কম্পিউটার প্রয়োজন হয়

What kind of computer is required for freelancing work?

ফ্রিল্যান্সিং অথবা আউটসোর্সিংয়ের কাজের ক্ষেত্রে যাঁরা নতুন তাদের প্রশ্ন থাকে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে কী ধরনের কম্পিউটার প্রয়োজন হয় ? Freelancing বা আউটসোর্সিংয়ের সহজ কাজগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণ মানের কম্পিউটারই যথেষ্ট। প্রথমেই জানা জরুরি যে, অল্প স্বল্প ধারণা বা দক্ষতা নিয়ে Up Work বা যেকোনো International  মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ পাওয়ার চিন্তা করলে ব্যার্থ বা হতাশ হতে হবে।

আরও পড়ুনঃ বৃষ্টিতে মোবাইল ভিজে গেলে কি করবেন বা করণীয় কি?

ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কি ধরনের কম্পিউটার প্রয়োজন হয় ?

Freelancing বা আউটসোর্সিংয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এক শ্রেণির কাজের সঙ্গে আরেক শ্রেণির কাজের প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। তাই কাজের প্রয়োজনে আপনার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন Tools এর প্রয়োজন হতে পারে। সেই সব দিক বিবেচনা করলে আপনার বাজেট যদি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হয়, তবে আপনি মোটামুটি ভালো মানের কম্পিউটার পাবেন এবং তাতে আশা করি আপনি কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। কোন প্রব্লেম হবে না।

তবে যাঁরা গ্রাফিক্স ডিজাইন বা অন্যান্য সৃজনশীল  ভারী সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করবেন তাঁদের জন্য অবশ্যই হাই কনফিগারেশনের কম্পিউটার লাগবে। তা না হলে কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। বাজারে ৪০ হাজার টাকা থেকে এর ওপরে অনেক হাই কনফিগারেশ পিসি পাওয়া যাবে।

আপনি গ্রাফিক্স ,ভিডিও এডিটিং অথবা অটোক্যাড সফটওয়্যার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্য ভালো কনফিগারেশন কম্পিউটার লাগেন।

আপনি যেহেতু আউটসোর্সিং এর কাজ করবেন সেহেতু আপনাকে ডিসাইড করতে হবে আপনি কি ধরণের কাজ করবেন ভারী কাজ না হালকা কাজ ভারী কাজ ( ভিডিও এডিটিং , গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা অটোক্যাট রিলেটেড কাজ ) আর হালকা কাজ বলে ( মাইক্রোসফট অফিস , ডাটা এন্ট্রি ,ওয়েব ডিজাইন অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং )বুঝানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ করোনার ভয়ে অন্য রোগ কে অবহেলা নয়, সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই নিয়ম গুলো।

উপসংহার:

যদি দীর্ঘ সময় কাজ করতে চান এবং ভারী সফটওয়্যার এর কাজ করতে চান তাহলে ডেস্কটপ কম্পিউটার ভালো হবে। আর যদি হালকা কাজ করতে চান তাহলে আপনি ল্যাপটপ কম্পিউটার নিতে পারেন।

সুবিধা : ল্যাপটপ নিলে আপনি কমপক্ষে দীর্ষ সময় ব্যাকআপ পাবেন যদি কারেন্ট চলে যায় এবং এটা প্রোটেবল হওয়াতে আপনি যেখানে ইচ্ছে নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু ডেস্কটপ কম্পিউটার এই সুবিধে গুলো পারবেন না।

অসুবিধা : ল্যাপটপ দিয়ে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারবেন না। আপনার ল্যাপটপ গরম হয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আর ভারী সফটওয়্যার ইনস্টল করলে আপনার ল্যাপটপ হ্যাং হয়ে যাবে। তবে ভাল মানের হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপ হবে আপনি ভারী সফটওয়্যার কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার বাজেট গিয়ে দাঁড়াবে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। সেকেত্রে আপনি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে ভাল কম্পিউটার কিনতে পারবেন।
পোস্ট টি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার ও কমেন্টস করবেন। পরবর্তী পোস্ট দেখার আমন্তন জানিয়ে আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। সবাইকে শুভকামনা রইল।

আমাদের যোগাযোগের মাধ্যমঃ
Facebook Page                                                       YouTube Channel

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.