মার্কিন প্রেসিডেন্ট – জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী Joe Briden । তিনি পেয়েছেন ২৬৪ টি ইলেকটোরাল ভোট। জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট। যার বিপরীতে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২১৪টি ইলেকটোরাল ভরুন
একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যা যা পান
এখন চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হলেই মার্কিন ক্ষমতার মসনদে বসবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। চলুন দেখে নেওয়া যাক, একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যা সুবিধা পান।
আরও পড়ুনঃ পুরুষের যে অঙ্গটি মেয়েদের আকর্ষণ করে!
হোয়াইট হাউস – মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনের নাম। ৫৫,০০০ বর্গফুটের উপর নির্মিত ছ’তলা এই ভবনে ১৩২টি রুম, ৩৫টি টয়লেট এবং ২৮টি ফায়ারপ্লেস রয়েছে। এছাড়া রয়েছে বোলিং অ্যালি, সিনেমা হল, জগিং ট্র্যাক,জিমনেশিয়াম , সুইমিং পুল সহ আরও ছোট বড় অনেক সুবিধা। ব্যক্তিগত নিরাপতা সহায়কও পেয়ে থাকেন।
ব্লেয়ার হাউস – হচ্ছে প্রেসিডেন্টের সরকারি গেস্ট হাউস, হোয়াউট হাউসের চেয়েও অনেকটাই বড়। এর আয়তন ৭০,০০০ বর্গফুট।
ক্যাম্প ডেভিড – এটি হল পার্বত্য আবাস। মেরিল্যান্ডের পর্বতে ১২৮ একর জায়গার উপর নির্মিত এই ভবন রয়েছে। রুজভেল্ট থেকে শুরু করে প্রায় সব প্রেসিডেন্টই এখানে কখনও না কখনও থেকেছেন।
এয়ার ফোর্স ওয়ান – মার্কিন প্রেসিডেন্টের যাতায়াতের স্বার্থে এই ব্যক্তিগত ব্যবহৃত এয়ারক্রাফ্টে যে ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। তা ইলেকট্রোম্যাগনেটিক পাল্স থেকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম। যে কোনও ধরনের আক্রমণের হাত থেকে নিরাপদ রাখতেও বিশেষ ভাবে তৈরি হয়েছে এই এয়ার যান। মাঝ-আকাশে জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে ফের তা ভরে নেওয়া সুভিধা।
আরও পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি? | ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা | ডিজিটাল ও প্রচলিত মার্কেটিং এর মধ্যে পার্থক্য
মেরিন ওয়ান – হল সরকারি চপার, একই রকম চারটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে ওড়ে। ইঞ্জিন বিকল হলেও ঘণ্টা ১৫০ মাইল গতিতে ওড়ার ক্ষমতা রাখে এই হেলিকপ্টার।শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করার যাবতীয় ব্যবস্থা রয়েছে মেরিন ওয়ান।
দ্য বিস্ট – যে লিমুজিনটি চড়ে প্রেসিডেন্ট ঘুরে বেড়ান, সেটিকে বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক ও নিরাপদ গাড়ি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গোলাগুলি তো বটেই, রাসায়নিক আক্রমণ ঠেকাতেও সক্ষম এই গাড়িটি। পাঁচ স্তরীয় কাচ ও পলিকার্বোনেটের জানলা। অক্সিজেনের বাবস্থা সহ, অগ্নি মোকাবিলার ব্যবস্থা রয়েছে, ছাড়াও এই গাড়িতে রয়েছে ব্লাড ব্যাঙ্ক।
সিক্রেট সার্ভিস – এই সার্ভিস এর মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তা বাহিনী, প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। সিক্রেট সার্ভিসের মতো দেশের প্রাচীনতম ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ইউটিউব শপিং | উপার্জন করুন ইউটিউব ই-কমার্স থেকে | Google Plans to Make YouTube a Major Shopping Destination
বেতন – প্রেসিডেন্ট এর বেতন চার লক্ষ মার্কিন ডলার। এই বেতনের উপর অবশ্যই কর দিতে হয়। এর পাশাপাশি বিনোদন ভাতা হিসেবে ১৯ হাজার মার্কিন ডলার, অন্যান্য খরচ বাবদ বার্ষিক ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং ১ লক্ষ ডলারের ভ্রমণ ভাতা বরাদ্দ পান মার্কিন প্রেসিডেন্ট , যার উপরে কোনও কর দিতে হয় না। ক্ষমতায় না থাকলেও, অবসরেও দু’লক্ষ মার্কিন ডলার বার্ষিক পেনশন পান সাবেক প্রেসিডেন্টরা। এছাড়াও, প্রেসিডেন্ট এর মৃত্যুর পর স্ত্রী বিধবা ভাতা হিসেবে পান বার্ষিক ১ লক্ষ ডলার।
এছাড়াও, অসংখ্য সুযোগ সুবিধা পেয়ে তো থাকেন, তার সাথে সারা বিশ্বের নাম্বার অন লিডার ও সন্মাননা পেয়ে থাকেন।
Also More:
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি |
ইলেক্টোরাল ভোট কি |
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তালিকা |
মার্কিন সিনেট কি |
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন |
রিপাবলিকান পার্টি |
আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট কে |
মার্কিন প্রেসিডেন্ট যা যা পান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট