ইলন মাস্ক এর ভাষ্য মতে, টুইটারের মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যার মধ্যে কতোগুলো স্প্যাম এবং ফেইক ইউজার রয়েছে, সেটি জানাতে ব্যর্থ হয়েছে টুইটার। তাই তিনি টুইটার কিনছেন না।
গত মে মাসে টুইটার কেনার চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করে ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, টুইটারে স্প্যাম বা ফেইক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ‘শতকরা পাঁচ শতাংশের নীচে’ কিনা, তিনি তা জানতে অপেক্ষা করছেন৷
এক চিঠিতে ইলন মাস্কের আইনজীবী জানান যে, ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়ে ছিলেন কিন্তু টুইটার কর্তৃপক্ষ তা জানাতে অসম্মতি জানান।
এদিকে চুক্তির শর্ত না মানায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে মাস্ককে ১০০ কোটি ডলার জরিমানা দিতে হতে পারে। মাস্কের ঘোষণার পর টুইটারের শেয়ার ৭ শতাংশ দরপতন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিশ গণ মাধ্যম বিবিসি।
এদিকে টুইটার চুক্তি থেকে সরে আসায় ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ । বার্তা সংস্থা রয়টার্স এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, টুইটারের মত একটি জনপ্রিয় প্লাটফরম কেনার চুক্তি সাক্ষরিত হবার পরেও ইলন মাস্ক কিভাবে তার পরিবর্তন করতে পারে। এর ফলে শেয়ার মার্কেট এ ৭% দরপতন হয়েছে। এর ফলে টুইটার ও স্টক হোল্ডার ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। মামলায় দাবি করা হয়েছে, চুক্তির একাধিক শর্ত ভঙ্গ করেছেন মাস্ক।