ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন মুসলিম বিশ্ব । এরি মধ্য আরব বিশ্বে ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন । তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মানসিক পরীক্ষা করা দরকার।
রাসূলের অপমানে যদি না কাঁদে তোর মন..?
মুসলিম নয় মুনাফিক তুই রাসূলের দুশমন..?
………………………………………………………………………….
ফ্রান্সে মহানবীকে অবমাননা | যা বললেন আজহারী | ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক মুসলিম ঊম্মার
কট্টর এই খৃষ্টান রাষ্ট্র ফ্রান্সের দুটো বিল্ডিংয়ে নবীজির ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেছেন, তারা ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করবে না। এটা নাকি তাদের ‘ফ্রিডম অফ স্পিচ’। বাক-স্বাধীনতার নামে তারা যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে, এই নর কিট গুলো । এই ফ্রান্সেই আবার হিজাব নিষিদ্ধ।তার পরও, তার ধর্ম নিরপেক্ষ দাবি করে। কী চমৎকার তাদের নিয়ম! ফ্রান্স রাষ্ট্রীয়ভাবে, মুহাম্মাদ ( সঃ) এর বিরুদ্ধে এমন কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা চালাচ্ছে। সারা পৃথিবীর বিবেক হীন মানুষ গুলো চেয়ে চেয়ে দেখছে। সম্প্রতি ফ্রান্স সরকার অসংখ্য মসজিদ ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছে। আরও অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধের তালিকায় রয়েছে। এই নর কিট ম্যাক্রোঁ , বাংলাদেশি কিছু নাস্তিক দের মতই বলেন, মসজিদ ও মাদ্রাসা নাকি সন্ত্রাসবাদ ছড়ায়! আমার তো মনে হয়, বাংলাদেশি এই নাস্তিক গুলোর অর্থের যোগান দেয়, সাদা চামড়ার এই জানোয়া গুলো, তারাও মুক্ত চিন্তার নামে, একই শুরে কথা বলে। তাদের সুদুর প্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ঐসব জানোয়াররা উল্টো মুসলমানদেরকে সন্ত্রাসী বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ যে কোন কারনেই – আপনি কি হতাশ ? – নিরাশ হচ্ছেন
ডঃ মিজানুর রহমান আজহারী বলেন
রবিউল আউয়াল মাসে, রাষ্ট্রীয় সহযোগিতায়, ফ্রান্সের দুটো বিল্ডিংয়ে প্রকাশ্যে আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করেছেন— এটা শতাব্দীর সর্ব নিকৃষ্ট অসভ্যতা। কোন সভ্য সমাজের মানুষ এভাবে ভিন্ন বিশ্বাসের মানুষদের সেন্টিমেন্টের প্রতি এরকম উগ্র আচরণ করতে পারে না। এটা সুস্পষ্ট উস্কানিমূলক। এর প্রতিক্রিয়ায়, অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোন ঘটনা বা পরিস্থিতির জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দায়ী থাকবে।
কারণ সে বলেছে, ফ্রান্স ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করবে না। এটা নাকি তাদের বাক-স্বাধীনতা। শেইম! শেইম অন এমানুয়েল ম্যাক্রন! . হৃদয়ের সবটুকু ঘৃণা ও ক্ষোভ একত্রিত করে ধিক্কার জানাই এসব নরাধমদের— যারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি অসহনশীলতা প্রদর্শনকে ও অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়াকে “ফ্রিডম অফ স্পিচ” বলে আখ্যায়িত করছে।
পৃথিবীর কোন ভদ্র ও সুস্থ বিবেকসম্পন্ন মানুষ এমন কাজকে সমর্থন করতে পারে না। আসলেই, এমানুয়েল ম্যাক্রন এর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। আফ্রিকান গরিব দেশগুলোকে শোষণ নিপীড়ন করেই লুটেরা ফ্রান্সের আজকের এই বাহাদুরি। দাম্ভিকদের পতন অনিবার্য ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা চাইলে মুহূর্তে এই দাম্ভিকদের দম্ভকে মাটির সাথে গুড়িয়ে দিতে পারেন। মনে রাখা দরকার যে “আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না”। ইতিহাস আমাদেরকে এটাই মনে করিয়ে দেয়। ইতিহাস বড়ই নির্মম !
এই ফ্রান্সে আইন করে মুসলিম নারীদের হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করা হলেও, করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর, মুখ না ঢেকে চলাফেরা করলে ১৫০ ইউরো জরিমানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফ্রান্সে হঠাৎ গত একদিনে করোনায় ৪০ হাজার আক্রান্ত, মৃত্যু ২৯৮ জন। জানিনা এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে গজব কিনা! . শুধু এতটুকু জানি— প্রিয় নবীর প্রতি অসম্মান দেখিয়ে ওরা নিজেদেরকে কলঙ্কিত করেছে, সর্বোচ্চ অসভ্যতার পরিচয় দিয়েছে। আমার প্রিয় নবীর মর্যাদাকে ওরা করশিন কালেও কিঞ্চিৎ কমাতে পারবেনা।
কিভাবে তারা সেটা করবে? স্বয়ং আরশের অধিপতি প্রিয় হাবিবের সম্মানকে দ্যুলোক-ভূলোক ছাড়িয়ে, সাত আকাশ মাড়িয়ে তাঁর আরশ অবধি সমুন্নত করেছেন।
“আর আমি আপনার সন্মানকে(গোটা জগৎময়) সমুন্নত করেছি”। [সূরা আল-ইনশিরাহ: ৪]
“আপনার প্রতি বিদ্বেষ ও শত্রুতাপোষণকারী হল শেকড়হীন, নির্বংশ”। [সূরা আল-কাউসার: ৩]
শেষ কথাঃ
আমরা যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী তাদের সবারি ইমানের দাবি ও উচিৎ, মন থেকে ফ্রান্স কে ঘিনা করা। এর পাশা পাশি তাদের সকল পণ্য বয়কট করা । বয়কট কে ছোট করে দেখবেন না । কারন, বয়কট যে কোন দেশকে আন্তর্জাতিক ও অর্থনীতিক সঙ্কটে ফেলে দেন। ২০০৪ সালে ডেনমার্ক প্রিয় নবীর ব্যাঙ্গচিত্র করার দায়ে মুসলিম উম্মা বয়কট করেছিলো এর ফলে তারা, অর্থনীতিক সঙ্কটে পরেছিল। এখুন ডেনমার্ক সোজা হয়েছে । আশা করি ফ্রান্স ও সহজা হবে , ইনশা আল্লাহ
লেখাটি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন । ভাল থাকবেন সবাই । আল্লাহ হাফেজ