“Dating App Tinder বা Bumble এ অধিকাংশ ছেলেরা আসলে শারীরিক অন্তরঙ্গতা চায়। তাদের সাথে কথা বলা শুরু করতে না করতেই তাদের আল্টিমেট প্রশ্ন হলো, Do you want to met me?”
Dating App – ব্যবহার করার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই BBC Bangla কে জানাচ্ছিলেন সদ্য স্নাতক শেষ করা রাজধানীর ফার্মগেটের বাসিন্দা সাদিয়া (ছদ্মনাম)। উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও গত কয়েক বছর ধরে ডেটিং অ্যাপের ব্যবহার বেড়েই চলছে। প্রথমদিকে শুধু ছেলেরা Dating App ব্যবহার করলেও এখন বাংলাদেশি মেয়েরাও করছেন। কিন্তু এগুলোর ব্যবহার নিয়ে বাংলাদেশের ছেলে ও মেয়েদের মাঝে রয়েছে নানা রকম অভিজ্ঞতার ।
[lwptoc min=”2″ depth=”6″ hierarchical=”1″]
Dating App ব্যবহারে বাংলাদেশি মেয়েদের অভিজ্ঞতা কেমন
‘ক্যাজুয়াল ডেটের জন্য Dating App ভালো’
বন্ধুদের উৎসাহে Dating App Bomble এ অ্যাকাউন্ট খুললেও শেষ পর্যন্ত ঠিকঠাক সঙ্গী খুঁজে পাননি সাদিয়া। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমার কয়েকজনের সাথে বন্ধু হয়েছিলো। তারা Imoshonal Intimanci ওপর কাজ করার চেয়ে ফিজিক্যাল ইন্টিমেসি বেশি চাহিদা তাদের। বিষয়টা আমার ভালো লাগেনি।
“যারা ক্যাজুয়াল ডেটিং পছন্দ করে, তাদের জন্য ডেটিং অ্যাপ ভালো। দেখা যায়, প্রতি সপ্তাহে তারা কারও না কারও সঙ্গে ডেটে যাচ্ছে। কিন্তু এখানে কোনও Imossional Attachment থাকছে না।” আমার মতে সিরিয়াস রিলেশনশিপের জন্য ডেটিং অ্যাপের ওপর নির্ভর করা উচিৎ না ।
আমি মাত্র দু’জনকে পেয়েছিলাম। তাদের মাঝে একজনের সাথে ছয় মাস কথা হয়েছে। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত টিকেনি। কারণ আমি সিরিয়াস রিলেশনশিপ চাচ্ছিলাম, কিন্তু সে চাচ্ছিলো না। দীর্ঘদিন কথা বলার কারণে আমার ওকে ভালো লেগেছিলো। বাট হি ওয়াজ অলসো লুকিং ফর আদার উইমেন। তখন মনে হলো যে এই ধরনের একজন ব্যক্তির সঙ্গে নিজেকে জড়াতে চাই না।
Dating App এ অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সময় ব্যবহারকারীকে তার উচ্চতা, ত্বকের রং, শখ সহ আরও অনেক তথ্য দিতে হয় । আমি যতটুকু অনুধাবন করতে পেরেছি তা হল, ডেটিং অ্যাপগুলোতে যাদের বয়স ৩০ বছরের কম, তাদের অধিকাংশের উদ্দেশ্য হলো শারীরিক অন্তরঙ্গতা। আর যাদের বয়স ত্রিশের বেশি, তারা আবার বিয়ের জন্য মেয়ে খোঁজেন।
এই বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন একজন নারী, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেহেরুন নাহার মেঘলাও। কৌতুহলবশত ২০১৭ সালের দিকে বন্ধুদের সাথে মিলে Tender এ অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন তিনি। তখন তার সাথে অনেকের চ্যাটিং হত তবে প্রেমের সম্পর্ক না হলেও একটা ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়েছিলো মিজ মেঘলার।
মেঘলার মতে, “বাংলাদেশের মানুষ ডেটিং অ্যাপের কনসেপ্টটাই বুঝে না। এই আপে তো বলাই আছে যে এটা একটা হুক-আপ অ্যাপ, শুধু ক্যাজুয়াল ডেটের জন্য। কিন্তু মানুষ ভাবে এটা বিয়ে করার অ্যাপ।”
“সবাই যে সেক্সের জন্যই টিন্ডার ব্যবহার করে, তা কিন্তু না। তবে টিন্ডারে যদি কেউ সেক্সের আহবান করে , তাহলে সেটাকে Abnormal মনে করার কিছু নাই। কারণ টিন্ডার থেকে সিরিয়াস সম্পর্ক আশা করার কিছু নাই ।
Source by: GETTY IMAGES
ছেলেদের দৃষ্টিকোণ কী বলছে
এ বিষয়ে ছেলেদের অভিজ্ঞতা বা দৃষ্টিভঙ্গিও অনেকটা মেয়েদের মতই। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইমরান হোসেন সর্বপ্রথম টিন্ডারে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন করোনা মহামারির সময়ে, তখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মি. হোসেন বলেন, “কোভিডের সময় চারদিকেই কেমন একটা মনমরা অবস্থা ছিল। তখন একাকিত্ত কাটাতে এমনিতেই টিন্ডারে ঢুকছিলাম। কিন্তু ঢোকার পর আর ভাল্লাগে নাই।”
কারণ তিনি বলেন, “এদের প্রত্যেকের Communication System কেমন যেন। Hi, Hello, অর্থাৎ Minimum Comversation ও পার হতে পারে না। তার আগেই যৌনতার কথাবার্তা শুরু করে দেয়।” অ্যাকাউন্ট ওপেন করার সাত দিনের মাথায় সাভারের একজনের সাথে কথা হয়েছিলো তার। “একদিন মাঝরাতে আমায় জিজ্ঞেস করে তুমি কী পরে আছো? এটা খুব বিচ্ছিরি লাগছিলো, নরমাল কোনও মানুষ এরকম কথার রিপ্লাই দিতে পারে না। সেদিনই আমি ডিলিট করে দেই ঐ অ্যাপ। তবে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে অনেকে বিয়েও করেছে এবং তারা এখন সুখী।
Image Source by GETTY IMAGES
অসতর্ক হলে ‘নিশ্চিত বিপদ’
ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের অবশই অসতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে তা না হলে ডেটিং অ্যাপের কারণে ‘নিশ্চিত বিপদ’ এর মাঝে পড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ, স্ক্রিনের ওপাশের মানুষটা নারী নাকি পুরুষ, ছবি দেখে সেটা যাচাই-বাছাই করার কোনও উপায় নেই। মিজ মেঘলা এ বিষয়ে বলেন, এটা সত্য যে টিন্ডারে মানুষজন যৌনতা চায় বেশি। সেইসাথে, অনেক অ্যাকাউন্টে আসল নাম পরিচয় থাকে না। সেক্ষেত্রে কেয়ারফুল থাকা উচিৎ। আমি যখন টিন্ডার চালাতাম, তখন আমার নিজেরই চ্যাটিং-এর এক পর্যায়ে উল্টো পাশের মানুষটাকে ফেইক, মানে মেয়ে বলে মনে হচ্ছিলো। আরেকটা ঝুঁকি হলো, ব্যবহারকারীদের অনেকে নিজেদের অন্তরঙ্গ ছবি আদানপ্রদান করে।
এজন্য তারা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে স্ন্যাপচ্যাট। কারণ, স্ন্যাপচ্যাটে পাঠানো কোনও ছবি বা মেসেজ একবার দেখার পর তা অটোমেটিক্যালি ভ্যানিশ হয়ে যায়। এমনকি, কেউ স্ক্রিনশট নিলেও সেটা লেখা থাকে।তবে এ বিষয়ে মিজ রুবিনার বক্তব্য, “ম্যাক্সিমাম ছেলেরা স্ন্যাপচ্যাটে ইন্টিমেট পিকচার এক্সচেঞ্জ করতে চায়। স্ন্যাপচ্যাটে ছবি দিলে দেখার পর চলে যাবে। কিন্তু তার কাছে যদি আরেকটা ফোন থাকে, তাহলে সে সেটা দিয়ে ছবি তুলে রাখতে পারে।”
“ডেটিং অ্যাপে কথা বলার পর যদি কোনও মেয়ে দেখা না করতে চায়, তাহলে ওরা অনেক পারসোনালি নিয়ে নেয়। আজেবাজে কথা বলে, গালাগালি করে। অনেক ফ্রেন্ডদেরকে আমি ইন্টিমেট ছবির জন্য ব্ল্যাকমেইলড হতেও দেখেছি।”
Image Source by: GETTY IMAGES
গবেষণা কী বলছে
বাংলাদেশে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও বিস্তারিত গবেষণা করা হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টারে ২০২৩ সালের করা এক গবেষণায় দেখা যায়, দেশটির শতকরা ৩০ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক মানুষ ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে। এদের মাঝে ৩৪ শতাংশ পুরুষ এবং ২৭ শতাংশ হলো নারী। তবে যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৯ বছরের মাঝে, তাদের মাঝে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া, ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই হয় অবিবাহিত, অথবা ইতোমধ্যে তাদের কোনও না কোনও সঙ্গী আছে। বিবাহিত বা যাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে,তাদের মাঝে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করার প্রবণতা তুলনা মুলক কম।
এই গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্টদের চেয়ে যারা সমকামী বা উভকামী; তাদের মধ্যে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করার হার অনেক অংশেই বেশি। এখানে আরও উঠে এসেছে যে ৪৪ শতাংশ ব্যবহারকারী লং-টার্ম সম্পর্ক গড়ার জন্য এবং ৪০ শতাংশ ক্যাজুয়াল ডেটের জন্য ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে। মাত্র ২৪ শতাংশ ক্যাজুয়াল সেক্সের জন্য এগুলো ব্যবহার করে। অনেকে আবার নতুন বন্ধু বানানোর জন্যও ডেটিং অ্যাপকে বেছে নেয়। তবে এই সবগুলো ক্যাটাগরিতেই নারীদের হার বেশি।
এই গবেষণায় আরও বলছে যে যুক্তরাষ্ট্রের ৫৬ শতাংশ নারী ব্যবহারকারী বলেছে যে তারা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বা না চাওয়া সত্ত্বেও ডেটিং অ্যাপে পুরুষদের কাছ থেকে যৌনোদ্দীপক বা হয়রানিমূলকও মেসেজ এবং ছবি পেয়েছেন।
Image Sourse by: GETTY IMAGES
ডেটিং অ্যাপের দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণ
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মাঝে অনলাইনবেজড সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রবণতা অনেক বেশি। এর কারণ হিসেবে তারা মনে করেন, এই প্রজন্মের অনেকে ভালো লাগার কথা সামনাসামনি বলতে হয়তো পছন্দ করে না। এছাড়া, যারা চরিত্রগতভাবে অন্তর্মুখী, তারা অনলাইন থেকে সঙ্গী খুঁজে নিতে চায়। তাছাড়া, সামনাসামনি দেখা করতে গেলে বেশি সময় দিতে হয় বলেও অনেক অনলাইনে সম্পর্ক গড়েন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালমা আক্তার বলেন যে অনেক সময় একাধিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার জন্যও মানুষ এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করে। একটা সমাজে থেকে একই মানুষ প্রকাশ্যে একাধিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারে না। যদি কেউ করে, তাহলে সেটি সোশ্যাল কনসার্ন হয়ে যায়। কিন্তু অনলাইনে এই ঝামেলা নেই। কারণ সেখানে তথ্য লুকানো যায়। এবং, একজন মানুষের একই সাথে কতজনের সাথে সম্পর্ক আছে, সেটি কেউ জানতে পারে না।
বর্তমান প্রজুক্তির যুগে ছেলেমেয়েরা পরিবারের সাথে সম্পর্ক না রেখে ডিজিটাল ডিভাইস এর সাথে সম্পর্ক বেশি হওয়াতে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করার কারন বলে মনে করেন, “এখনকার ছেলেমেয়েরা যেভাবে বড় হয়, তাতে তারা পরিবারের সাথে যুক্ত না। আগে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হতো, কিন্তু এখন বিয়ের কথা বললেই বাচ্চারা তাদের বাবা-মাকে বলে, এটা আমার পারসনাল বাপার”
Image Sourse by: GETTY IMAGES
তবে এইসব কিছুর মূলে আছে বিশ্বাসহীনতা। অধ্যাপক সালমা বলেন, “এখনকার ছেলেমেয়েদের মাঝে পারস্পরিক বিশ্বাস কমে গেছে। ছেলে মনে করছে, তার পার্টনারের অনেক সম্পর্ক আছে। মেয়েও মনে করছে, আমার পার্টনারের অনেক সম্পর্ক আছে। অথচ, লং টার্ম রিলেশনশিপের ভিত হলো বিশ্বাস।”
“রিলেশনশিপ একটা কমোডিটিতে পরিণত হয়েছে। কারও যদি পার্টনার না থাকে, তাহলে তার বন্ধুরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। ডেটিং অ্যাপের দিকে ঝোঁকার এটাও একটা কারণ,” যোগ করেন তিনি।
করণীয় কী?
নানা প্রকার তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও ডেটিং অ্যাপের জনপ্রিয়তা দিন বেরেই চলছে। বরং, গত কয়েক বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে সামলাতে হচ্ছে। ডিবি’র সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. জুনায়েদ আলম সরকার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে ডেটিং অ্যাপগুলোর মাধ্যমে মূলত অপহরণের শিকার বেশি হয়। “আমরা আরও এক দেড় বছর আগে থেকে এই কেসগুলো তদন্ত করছি। দেখা যায়, অ্যাপে পরিচয় হওয়ার পর একটা মেয়ে কারও বাসায় গেছে, যাওয়ার পর তাকে আটকে রেখে বাবা-মায়ের কাছ মুক্তিপণ আদায় করছে।” এই ঘটনাগুলো এখনও খুব বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না পৌঁছালেও ‘আশেপাশে ঘটছে’ বলে জানান তিনি।
তিনি ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সবাইকে এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন। তবে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির যদিও মনে করেন যে সরকার থেকে এই বিষয়টিকে শক্তভাবে নজরদারি না করা হলে সমস্যা ক্রমশ বাড়বে।
“যদি ঐ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকার বলে দেয় যে আমার দেশের এই বয়সের কম নাগরিকদেরকে ডেটিং অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে তোমরা অনুমতি দিতে পারবে না, কেবল তখন সেটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তখন ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ট্র্যাপে পড়বে না।”
প্রতিদিন আপডেট টেক নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
Tech News, Tech Tips, Apon Academy, Viral News, Latest News, Bangla News, Product Review, Education, Entertainment, Technology, Bangla Tutorial, Outsourcing Bangla Tutorial, Web Development Tutorial, earn money online, make money online, Fiverr Bangla Tutorial Full Course 2024, Upwork bangla tutorial, freelancer, PeoplePerHour, Guru, Viral Post, Viral Video, Google News, Top News, Bangladesh, Kolkata, Upcoming Technology,
আরও পড়ুনঃ
>> প্রতি সপ্তাহে $100 ডলার ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং কাজের শুরুতেই অভিজ্ঞতা ছাড়াই ইনকাম – How to Make Money $100+ Income at First Day
>> ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয়ের সুযোগ দিচ্ছে দারাজ বাংলাদেশ
>> ইউটিউবের ভিডিও কপি পেস্ট করে লাখ টাকা উপার্জন – Copy Paste Work on YouTube
আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া সুমহঃ
ফেসবুকঃ www.facebook.com/aponacademyofficial
টুইটারঃ www.twitter.com/techinfobangla
ইন্সটাগ্রামঃ www.instagram.com/emjasimuddin
ইউটিউবঃ www.youtube.com/@aponacademy
Thanks for reading this post and Follow my Facebook Page.