Microsoft Office – একটি অফিস স্যুট, যেটি ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সার্ভার, লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এবং ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের একটি অফিস স্যুট। এটির প্রথম ঘোষণা দেন বিল গেটস, ১লা আগস্ট, ১৯৮৮ সালে লাস ভেগাসে। প্রথমে এটি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল ও মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট এর একটি সম্মিলিত software বান্ডল হিসাবে ছিল।
১০ জুলাই, ২০১২ সালে সফটপিডিয়া বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারির সংখ্যা ১০০ কোটি বলে উল্লেখ করে।
বর্তমানে চালু Microsoft Office 2013 উইন্ডোজের জন্য মুক্ত করা হয় ১১ অক্টোবর, ২০১২ সালে, এবং ম্যাক ওএস এর জন্য Microsoft Office 2011 মুক্ত করা হয় ২৬ অক্টোবর, ২০১২ সালে। এটির মোবাইল সংস্করণ অফিস মোবাইল নামে উইন্ডোজ ফোন, আইওএস (আইফোন ও আইপ্যাড-এর জন্য আলাদা) এবং এনড্রয়েড ফোনের জন্য বিনামুল্যে চালু আছে। ওয়েব ভিত্তিক অফিস অনলাইন-ও চালু আছে।
উইন্ডোজ এবং ম্যাক ওএস এর বর্তমান ডেস্কটপ সংস্করণের জন্য অফিস ২০১৬, যা ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ এবং ৯ই জুলাই, ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছে। মাইক্রোসফট অফিস বর্তমান সংস্করণ ২০২১ ।
[lwptoc min=”3″ depth=”6″ smoothScroll=”1″]
Microsoft Office 2024 – Free Bangla Tutorial with PDF (Step by Step)
মাইক্রোসফ্ট অফিস এর কাজ কি ?
মাইক্রোসফট অফিস ( Microsoft Office ) হচ্ছে কতগুলি আলাদা আলাদা ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনের সমন্বয়ে তৈরি অফিস ব্যবস্থাপনা করার একটি Software যাহা মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ( Microsoft Windows ) তথা অপারেটিং সিস্টেমে চলে । ১৯৮৮ সালে বিল গেটস লাস ভেগাসে একটি প্রদর্শনীতে মাইক্রোসফট অফিসের কথা ঘোষণা করেন ।
মাইক্রোসফ্ট কি?
মাইক্রোসফট কর্পোরেশন (Microsoft Corporation) একটি বহুজাতিক আমেরিকান প্রযুক্তি প্রতিষ্ষ্ঠান। এর সদরদপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের রেডমন্ড, ওয়াশিংটনে অবস্থিত। সফটওয়্যার, ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স, ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও এর সাথে আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন সেবা উন্নয়ন, উৎপাদন, অনুমোদন, সমর্থন, ও বিক্রি করে থাকেন।
দুটো শব্দ Micro-computer ও Software এর মিলনে “মাইক্রোসফট” নামকরণ করা হয়েছে।
৪ এপ্রিল ১৯৭৫ সালে বিল গেটস ও পল অ্যালেন অল্টেয়ার ৮৮০০ এর জন্য Basic Interpreter নির্মান ও বিক্রির জন্য মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮০-র দশকের মাঝামাঝিতে এসে মাইক্রোসফট তাদের এমএস-ডস দিয়ে অপারেটিং সিস্টেম বাজারে বিশেষ জায়গা করে নেয়।
মাইক্রোসফটের সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ হল – লিংকডইন (LinkedIn), যা তারা $২,৬০০ কোটির ডলারের বিনিময়ে ২০১৬ সালে অধিগ্রহণ করেন।
মাইক্রোসফট শেখার জন্য কতটুকু শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন?
ইচ্ছে থাকলে যে কেউ এটা শিখতে পারবে, এর কোন বয়স ও শিক্ষার সিমানা নেই । তবে নুন্যতম ৮ম শ্রেণী পাশ থাকা ভালো। জেহেতু এই সফটওয়্যার টির সকল ইন্টারফেস English এ, তাই আপাতত ইংলিশ ওয়ার্ড পড়তে ও বুজতে পারে, এমন জেকেহই শিখতে পারবেন। কারন একজন শিক্ষিত মানুষের পক্ষেই সম্ভব কোন কাজ সঠিক ভাবে শেখা এবং তা ভবিষ্যতে নিজের কাজে প্রয়োগ করা। এরপর অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটার চালানো ও বেসিক দিকগুলো জানা থাকা ভাল।
এতে কি কি কাজ শিখতে পারবো?
মাইক্রোসফট অফিসের অনেকগুলো অংশ ( Function and Feature) রয়েছে যেমন- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল, মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট, মাইক্রোসফট এক্সেস, এগুলোকে একত্রে মাইক্রোসফট অফিস ( Microsoft Office ) বলে। এগুলো শেখা সকলের জন্য অপরিহার্য, কারন বর্তমানে যুগ হল Super Digital এর যুগ, অফিস এর সকল কাজ মাইক্রোসফট অফিস এর উপর নির্ভর। Microsoft Office জানা না থাকলে অনন্যার তুলনায় পিছিয়ে থাকবেন। আর প্রত্যেকটি অংশের কাজ আলাদা আলাদা। তাই আমাদের সবগুলো আপ্লিকেসন শিখতে হবে।
মাইক্রোসফট অফিস শিখে কিভাবে উপার্জন করতে পারি?
Microsoft Office – এতটাই প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন, যা ছাড়া অফিসিয়াল কাজ করার কল্পনাই করা যায় না। মাইক্রোসফট অফিস ছাড়া যে কাজ ১ ঘণ্টায় করবেন, সেই কাজ অফিস অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে ১০ মিনিটেই কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। আপনার Microsoft Office জানা থাকলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করতে পারবেন বিশ্ব সেরা ফ্রীলাঞ্চিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে। যেমন Upwork, Freelancer, People Per Hour সহ Fiverr এর মত মার্কেটপ্লেস গুলোতে। এখানে অসংখ্য কাজ রয়েছে মাইক্রোসফট অফিসের। উপার্জন করতে পারবেন শত শত ডলার।
আরও পড়ুন:
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড কি?
Microsoft Word – হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিসের অন্যতম প্রধান অংশ। এটি সবচেয়ে বেশি অফিসিয়াল কাজে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন লেখালেখির কাজে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ব্যবহার হয় যেমন চিঠিপত্র, বই লেখা, নোটিশ দেয়া, গুরুত্বপুর্ন তথ্য সংগ্রহ করে রাখা ইত্যাদি। এর মাধ্যমে আপনি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ মেমো, কোন বইয়ের কভার পেজ, নিজের জীবনবৃত্তান্ত সহ আরো অনেক কাজ করতে পারবেন এই অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে।
মাইক্রোসফট এক্সেল কি?
Microsoft Excel – মুলত অনেক বেশি তথ্য সারিবদ্ধ ভাবে সাজিয়ে রাখতে পারবেন। যদি আপনার কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, অফি্স বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকে তাহলে মাইক্রোসফট এক্সেলের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই তাদের বিভিন্ন রকম তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন। ধরুন, কোন প্রতিষ্ঠানের বেতন ,রেজাল্ট, বিদুৎ বিল,লাভ ক্ষতি ইত্যাদি এক্সেলের সুত্র প্রয়োগ করে সহজেই আপনি কাজ করতে পারবেন। এক্সেল এততাই জনপ্রিয় যে, সুত্র প্রয়োগ করে অ্যাপ্লিকেশন রেডি করে রাখলে, শুধু ইনপুট দিলেই অটো আউট পুট ক্যালকুলেসন করে রেজাল্ট দেখাবে।
মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট কি?
Microsoft Powerpoint – হচ্ছে অতীব গুরুত্বপুর্ন অ্যানিমেটেট প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার। মাইক্রোসফট অফিসের এই অংশে আপনি এক বা একাধিক স্লাইডের মাধ্যমে আকর্ষনিয় বিভিন্ন পেজেন্টেশন তৈরি করতে পারবেন। মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্টে অফিস অথবা কলেজের প্রেজেন্টেশন তৈরি করা, স্লাইড আকারে নিজের জীবনবৃতান্ত তৈরি করা, কোন স্থান বা দেশের ডকুমেন্টরি তৈরি করা, এমনকি ভিডিও পর্যন্ত তৈরি করা যায় মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট দিয়ে।
মাইক্রোসফট এক্সেস কি?
Microsoft Access – হচ্ছে ডাটাবেজ ভিত্তিক সফটওয়্যার। এর মাধ্যমে আপনি কোন একটি ডকুমেন্ট যেখানে অসংখ্য তথ্য আছে তার সাথে কোন সফটওয়্যার সংযুক্ত করে অনেক জটিল কাজ খুব সহজেই সম্পাদন করতে পারবেন। ধরুন আপনাকে কোন ঔষুধ এর ডিসপেনসারি, ঔষুধ এর সম্পুর্ন তথ্য হিসাব সহকারে সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি Microsoft Access এর মাধ্যমে সবগুলো ঔষুধের নাম লিখে ডাটাবেজ তৈরি করে রাখতে পারবেন।
শিখতে কতদিন সময় লাগবে?
প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা করে সময় দিলে আশা করি ৩ মাসের মধ্যে সবকিছু ভালভাবে শিখে নিতে পারবেন। তবে অবশ্যই মনযোগ দিয়ে শিখতে হবে। কারন মাইক্রোসফট অফিস শেখার কোন বিকল্প নেই। জিবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর প্রয়োজনিয়তা আপনি উপলব্ধি করবেন।
এটা শিখে কোথায় কাজ করবো?
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেখানেই যাবেন সেখানেই মাইক্রোসফট অফিস জানা থাকা আবশ্যক। তাই এ কাজ আপনাকে শিখতেই হবে।
ডিফল্ট অবস্থায় অফিস ২০২১ এ সংরক্ষিত ডকুমেন্টসমূহ স্বয়ক্রিয়ভাবে .docx এক্সটেনশন দিয়ে সংরক্ষিত হয়।
মাইক্রোসফ্ট অফিস ২০২১ তথা সকল ভার্সনই নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে – জেমনঃ
- ছবি, চার্ট, ডায়াগ্রাম এবং বিভিন্ন গ্রাফিকসহ ব্যবসায়ের ডকুমেন্ট (নথি) তৈরি করা।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন ফরমেট, যেমন – বইয়ের কভার পেজ, সাইড বার ইত্যাদি সংরক্ষণ এবং পুনরায় ব্যবহার করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
- ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক চিঠিপত্র এবং লেটারহেড তৈরি করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
- বিভিন্ন ডকুমেন্ট, যেমন- বায়ো-ডাটা, দাওয়াতপত্র ইত্যাদি ডিজাইন করতে বহুল ব্যবহৃত হয়।
- সাধারণ অফিস মেমো, আইনী অনুলিপি এবং রেফারেন্সমূলক বিভিন্ন ডকুমেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে।
প্রিয় পাঠকবর্গ,
যারা কম্পিউটার ব্যবহারে পারদর্শী নন, মাইক্রোসফ্ট অফিস ২০২১ সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না এবং যারা স্টেপ বাই স্টেপ বাসায় বসেই মাইক্রোসফ্ট অফিস ২০২১ শিখতে ইচ্ছুক এই টিউটোরিয়ালটি তাদের জন্যেই তৈরি করা হয়েছে।
এই টিউটোরিয়াল গুলো ভালো করে অধ্যয়ন করলে আপনি এমএস অফিস ২০২১ সহ সকল ভার্সনের উপর যথেষ্ট পরিমাণে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন এবং নিজেকে দক্ষতার উচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে পারবেন।
শর্তসুমহঃ
কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ যেমন- মাউস, কীবোর্ড, মনিটর, স্ক্রিন ইত্যাদি এবং কম্পিউটার সম্পর্কে যাদের প্রাথমিক জ্ঞান রয়েছে তারা সহজেই এই টিউটোরিয়ালটি শুরু করতে পারেন । আর লেখা টি ভালো লাগলে অবশই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
মাইক্রোসফট এক্সেল
মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট
মাইক্রোসফট এক্সেস
মাইক্রোসফট আউটলুক
মাইক্রোসফট ওয়াননোট
মাইক্রোসফট ওনডাইভ