ফের নগদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা: বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্বেগ

Share Now!

ফের নগদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা - বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্বেগ

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ফের দুষ্কৃতকারীদের হাতে চলে গেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে পুনরায় অবৈধ ই-মানি তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শনিবার (১৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।


🔍 কী ঘটেছে নগদে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, ‘নগদ’-এ অবৈধভাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে এমন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা আর্থিক জালিয়াতির মামলার একজন অভিযুক্ত। এ নিয়োগকে বেআইনি ও গুরুতর উদ্বেগজনক বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, নগদের আগের বোর্ড সদস্যরা বিপুল পরিমাণ আর্থিক অনিয়মে জড়িত ছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির ওপর অস্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক, কারণ এতে কোটি কোটি গ্রাহকের আর্থিক স্বার্থ জড়িত।


আরও পড়ুনঃ

আমি প্রতিদিন $35 ইনকাম করি CPA Marketing দিয়ে | সঠিক উপায় জানুন


⚠️ আদালতের রায়ের প্রভাব

বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী অনুপস্থিত থাকার সুযোগে আদালত প্রশাসক নিয়োগের ওপর আট সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেয়। এই আদেশকে কাজে লাগিয়ে দায়মুক্ত এক আসামিকে বেআইনিভাবে সিইও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরও জানান, নগদের আইটি বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুষ্কৃতিকারীরা এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সব ধরনের তথ্য ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। ফলে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে কী ধরনের কর্মকাণ্ড চলছে, তা নিয়ে গভীর শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।


📊 অতীতের অনিয়ম ও জালিয়াতি

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে ‘নগদ’-এ প্রযুক্তির অপব্যবহার করে ৬৫০ কোটি টাকার অতিরিক্ত ই-মানি তৈরি করা হয়েছিল। যাঁরা এই জালিয়াতি করেছিলেন, তাঁরা গত বছরের ৫ আগস্টের পর পালিয়ে গেলেও সম্প্রতি আবার পদে ফিরেছেন। ফলে নতুন করে একই রকম জালিয়াতি হয় কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।


🏛️ ডাক বিভাগের ভূমিকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, নগদ পরিচালনার জন্য ডাক বিভাগকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কেন এই প্রতিষ্ঠানটি অন্য পক্ষের হাতে তুলে দিলো— তা আমাদের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।


🧑‍⚖️ আগামী শুনানি

বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলার আসামিদের পুলিশ কেন খুঁজে পাচ্ছে না সে প্রশ্নও তোলেন মুখপাত্র। তিনি জানান, আগামী ১৯ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চে প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।


📌 সারাংশ

  • ‘নগদ’-এর নিয়ন্ত্রণ ফের দুষ্কৃতিকারীদের হাতে চলে গেছে।

  • বাংলাদেশ ব্যাংক অবৈধ নিয়োগ ও তথ্য বিচ্ছিন্নতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

  • আদালতের রায়ের ফলে প্রশাসক নিয়োগ স্থগিত হয়েছে।

  • আগামী ১৯ মে সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চে শুনানি নির্ধারিত।

 


❓প্রশ্নোত্তর (FAQ)

নগদের বর্তমান নিয়ন্ত্রণ কার হাতে?

বর্তমানে ‘নগদ’-এর নিয়ন্ত্রণ দুষ্কৃতিকারীদের হাতে চলে গেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক কী পদক্ষেপ নিয়েছে?

বাংলাদেশ ব্যাংক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে এবং আগামী ১৯ মে সুপ্রিম কোর্টের ফুল বেঞ্চে শুনানি নির্ধারিত হয়েছে।

গ্রাহকদের কী করণীয়?

গ্রাহকদের সতর্ক থাকা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার প্রতি নজর রাখা উচিত।

Leave a Reply