কোন কাজে সফলতা পেতে হলে থাকতে হবে ৭ টি গুণ

Share Now!
কোন কাজে সফলতা পেতে হলে থাকতে হবে ৭ টি গুণ

এই পৃথিবীতে চলার পথে , জীবনে সফলতা অনেক বেশি প্রয়োজন, আমাদের প্রতিটা ক্ষেত্রে সাফলতা দেখতে চাইনা না এমন লোক মেলা ভার সবাই চায় সফল হতে । কিন্তু কত জনই বা সাফল্যর স্বর্ণের শিখরে পৌঁছাতে পারে? কিন্তু কেন ? আমার তো সবাই মানুষ ভিন গ্রহের কেউ নয়! তাহলে কেন এই পৃথিবীতে কেহ সফল হয় আর কেউ সাফলের কাছেও যেতে পারে না কেন? আমার আজ সফল হওয়ার ৭ টি গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করব । সফল হতে হলে এই গুন গুলো অর্জন করেত হবে ইনশাআল্লাহ্‌ আপনি সফল হবেন।

১.আমিও পারবো, এই কথাটি মনে প্রানে বিশ্বাস করা:

যদি মনের ভিতর আত্মবিশ্বাস না থাকে যে আমি পারব , তাহলে আপনি সঠিক আত্মবিশ্বাসের অভাবে সত ভাগ প্ররিচম করেও আপনি বিফল হবেন ১০০% এটাই সত্য । তাই সময় মত ইতিবাচক মনভাবে তৈরি করতে অভ্যাস গরতে হবে । তাই তো আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে অটল , আমি যেভাবে ভাবছি ঠিক সেভাবেই পরিবর্তন করতে পারব। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যারা এই ধরনের ইতিবাচক মনোভাব ধারণ করে, তারা সর্ব ক্ষেত্রে সফলতার দেখা পেয়েছে।

আরও পড়ুনঃ প্রেমিকার স্থান দখলে নিচ্ছে সেক্স রোবট – বিপর্যয়ে মানব সভ্যতা – যৌন কর্মীর ভূমিকায় রোবট

২.নিজের যোগ্যতার উপর ভরসা রাখা:

অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যখন কেউ কোন একটি কাজের ব্যাপারে নিজের সামর্থ্যের ও যোগ্যতার উপর পূর্ণ আস্থা রাখে তখন সেই ব্যক্তি তার সত্যিকারের সামর্থ্যের চাইতেও আরো অনেক গুন ভালোভাবে কাজটি সম্পাদন করতে পারে এটাই বাস্তব সত্য,  যেকোন কাজে সফলতা পেতে হলে  নিজের যোগ্যতার উপর ভরসা রাখা খুব জরুরী।

৩.শঙ্কা-আশঙ্কা দূর করা:

মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে ফেলুন যে আজ থেকে কোন বাপরে শুধু শুধু শঙ্কা-আশঙ্কা বা অতিরিক্ত নেতিবাচক ভাবনা চিন্তা করবেন না। জীবন চলার পথে অনেক সময় নানা ধরনের খারপ কিছু না চাইতেই ঘটে যেতে পারে । কিন্তু, সেসব নিয়ে অযথা ভেবে বা চিন্তা করে পিছনে ফিরে আশার মানে কি দাঁড়ায়! , কোন সাধারণ ঘটনা থেকেই উদাহরণ টেনে আনা ঠিক নয় । মনে কর, তুমি রাস্তায় হাঁটছ , হটাত হুঁচোট খেয়ে পরে গিয়ে বাথা পেয়ছ তাই বলে কি তুমি আর কোন দিনে হাঁটবে না । জানি তুমি এটা কখুন করবে না । তাই, সফলতা পেতে শঙ্কা-আশঙ্কা আজ থেকেই দূর করতে হবে ।

আরও পড়ুনঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে আমাদের ধ্বংস করতে পারে – স্টিফেন হকিং – Artificial Intelligence

৪. সবকিছুর জন্যে নিজেকে দায়ী ভাবা বন্ধ করা:

সফলতার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সবকিছুর জন্য নিজেকে দোষী সাভবস্ত না করা ।এটি আসলে একধরণের মনের ফাঁদ। মনে করো খেলার মাঠে তোমরা ফুটবল খেলছো। পাশে বসা আপনার এক বন্দুর গায়ে গিয়ে অনাকাঙ্কখিত ভাবে বল লেগে বাথা পেল এখানে আপনার কোন দোষ নেই ।এমন পরিস্থিতিতে যদি তুমি নিজেকে দায়ী ভেবে থাকো তাহলে কিন্তু সমস্যা । অনেক সময় আমাদের মন বিভিন্ন অনাকাঙ্খিত ভুলে নিজের কাছে নিজেকেই দোষী সাব্যাস্ত করে থাকি যার জন্যে আসলে আমরা দায়ী নই। সুতরাং, এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে – সবকিছু বুধি-বিত্তি দিয়ে চিন্তা করতে হবে । যে কোন সমস্যা ঠাণ্ডা মাথায় সমাধান করতে হবে।

৫. যে কোন বিষয়ে হুট করে কোন সিদ্ধান্ত না নেওয়া:

যে কোন বিষয়ে হুট হাট সিধান্ত নেবার প্রবনতা অনেক বেশি যা পরে ভুল প্রমানিত হয় । তাই কোন বিষয়ে ফাইনাল সিধান্তে পৌঁছাতে চাইলে আগে তা অবশই যুক্তি দিয়ে মিলিয়ে তার পর সিধান্ত দিতে হবে । তবেই নিজের মতামতকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বাজিক দিক দিয়ে  কোন প্রমাণ ছাড়াই বেশভুষা দেখেই কোন একজনকে যদি মনে হয় সেই ব্যক্তি ভালো নয় এবং এই মনোভাব নিয়েই যদি সে ব্যক্তির সাথে তুমি খারাপ আচরণ করো তাহলে সেটি অন্যায় হবে। আগে জানতে হবে সে ব্যক্তি সত্যিই ভালো নাকি মন্দ।  এই অভ্যাসটি গড়ে তুলবার জন্য – সরাসরি কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবার আগেই বিরতি দিতে হবে । ভাব্বুন, চিন্তা ঙ্করুন, তারপর সিদ্ধান্তে নিন। নিজের মনের সাথে নিজে কথা বলো মানুষের বিবেক সবচে বড় আদালত, কিছু প্রশ্ন তৈরি করে প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজে নিজেই উত্তর তৈরি করুন । নিজেকে আগে বুঝার চেষ্টা করো।

আরও পড়ুনঃ করোনার ভয়ে অন্য রোগ কে অবহেলা নয়, সুস্থ থাকতে মেনে চলুন এই নিয়ম গুলো

৬. নিজের স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন

মানবন জীবনে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যের সঙ্গে কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাসগুলো অত প্রত ভাবে জড়িত।, আমরা খুব সহজে বদভ্যাসে জড়িয়ে পরতে পারি , ভাল অভ্যাসের জন্য নিজেকে সময় দিতে হয়। সাফল্যের জন্য নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে, একটা কথা আছে , যে নিজের জত্ন নিতে জানেনা সে অনের জত্ন নিতে পারে না ।আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। সৃজনশীলতা দখতার দিকে নজর দিতে হবে। নেতিবাচক মানুষ গুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

৭. সবকিছুই আজ, কাল বলতে কিছু নেই

ভবিষ্যৎ কিংবা অতীত বলে তেমন কিছু নেই, বিষয়টি আপেক্ষিক। সাফল্যের জন্য আপনাকে আজ কাজ করতে হবে। আজ যদি কাজ ভালো করেন তাহলে কিন্তু দারুণ একটি ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। আর যদি আজকের দিনটিতে আপনি কোনো কাজই না করেন, তাহলে কিন্তু আগামীকাল বলবেন আমার অতীতটা তেমন ভালো কাটেনি। চেষ্টা করুন প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্ত নিজের জন্য কাজ করতে। কাজের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ও নিজের উন্নতির জন্য ঘড়িতে সময় রাখার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিদিন ১ শতাংশ হলেও নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টা করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ এসইও কি? – কেন শিখব – অনলাইন সার্চে শীর্ষ স্থান পেতে এসইওর ভূমিকা কি?

 

শেষ কথাঃ

“রাতারাতি সাফল্য বলতে কিছু নেই। মনোযোগ দিলে দেখবে সব সাফল্যই অনেক সময় নিয়ে আসে”
– স্টিভ জবস

“সাফল্য আসলে কাজ করে যাওয়ার সাথে সম্পর্কিত। সফল মানুষেরা সব সময়ে কাজ করে যান। তাঁরা ভুল করেন, কিন্তু কখনও সেই কারণে থেমে যান না”
– কনরাড হিলটন

“অতীতের সাফল্য হয়তো তোমাকে ভবিষ্যতের ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু তুমি যদি প্রতিটি ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে পারো, তবে দিন শেষে তুমি একজন সফল হবেই।”
– জ্যাক মা

সব কথার শেষ কথা হল , আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। পৃথিবীতে যারাই সফল হয়েছে , তারাই অধিক কঠোর পরিশ্রম করেছে । আজকের বিল গেটস, জ্যাক মা, স্টিভ জবস এরা এমনি এমনি এই পর্যায় আশেনি , তাদের জীবনী পরলে দেখা জায় তার নাওয়া খওয়া ছেরে নিজের সপ্নকে বস্তবায়ন করতে মরিয়া হয়েছেন।

 

সূত্রঃ Qura/goodspoints/udvash/wikipedia

Leave a Reply