আপওয়ার্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে প্রথমে আপনার নিজের সম্পর্কে নির্ভুল তথ্য দিন Passport বা National ID কার্ডের তথ্য অনুযায়ী। নিজের স্পষ্ট ছবি ব্যবহার করুন, মুখমণ্ডল যেন পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা থার্ড পার্টি পক্ষের প্রোফাইলের কোনো লিংক আপনার প্রোফাইলে যুক্ত করবেন না। এটা আপওয়ার্কের নিয়মনীতির বহির্ভূত কাজ ।
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টিতে মোবাইল ভিজে গেলে কি করবেন বা করণীয় কি?
আপওয়ার্ক প্রোফাইল তৈরি করবেন যেভাবে – নিয়ম নীতি গুলো জেনে নিন
আপওয়ার্কে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরির সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রোফাইল ওভার ভিউ। এর কোনো ধরা বাঁধা নিয়ম নেই। তবে ভালো ইংরেজি জানলে আপনি অবশ্যই পারবেন। যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।
নিয়ম নীতি গুলো জেনে নিন :
১. আপনার কোনো ভালো কাজের বিবরণ ও অভিজ্ঞতা, কাজের ধরন ইত্যাদি যুক্ত করুন। অর্থাৎ কোন কাজে আপনার ভূমিকা কী, তা গুছিয়ে লিখুন।
২. আপনি এমনভাবে কাজের বিভাগগুলো নির্বাচন করবেন যেন আপওয়ার্ক ও ক্লায়েন্ট ইন্টারভিউতে জিজ্ঞাসা করার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিতে পারেন। এমন কিছু বিষয় নির্বাচন করবেন না, যে বিভাগের কাজ সম্পর্কে আপনি জানেন না।
৩. যদি আপনার টেকনিক্যাল বা অন্য কোন সনদ থাকে, যেটা আপওয়ার্ক সমর্থন করে, তবে এটা প্রোফাইলে যুক্ত করুণ। এই সনদ আপনার প্রোফাইলের মান বাড়াবে।
৪. প্রোফাইলে আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য মার্কেটপ্লেসের প্রোফাইলগুলোর ঠিকানা যোগ করে দিতে পারেন। যেমন: Twitter, Linkedin, বিহ্যান্স, GetHub, স্টাকওভারফ্লো, Dribbble ইত্যাদি। আমি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিই Behance ও Twitter কে।
৫. আপনার সম্পর্কে বা কাজের ধরন সম্পর্কে সর্বচো এক মিনিটের ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এটা আপনার প্রোফাইলে অতিরিক্ত মান যোগ করাবে এবং নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি ভালো মানের ভিডিও করছেন আর আপনার কথা বলার ধরন ও আপনার উচ্চারণ ভালো হচ্ছে। ভবেই ভিডিও টি সংজুগত করুণ।
আরও পড়ুনঃ যে ওয়ালপেপার ব্যবহার করলেই ক্র্যাশ করেছে #অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন গুলো।
ওপরের তথ্যগুলো দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে সাবমিট করুন এবং আপওয়ার্কের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকুন। আশা করি, আপনি যদি এসব তথ্য নিখুঁতভাবে দিয়ে থাকেন, তবে আপওয়ার্ক আপনার প্রোফাইল অনুমোদন করবে।
উপসংহাঃ
আর্টিকেলটি দেখার সাথে সাথেই আপওয়ার্কে প্রোফাইল তৈরি করার চেষ্টা করবেন না । কারন বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত প্রোফাইল তৈরি করার কারনে আমাদের দেশের প্রোফাইল আর Approved করতে চায় না। আপনি যখন নিশ্চিত হবেন যে আপনি কাজ করবেন, আপনি কোনো একটি বিষয়ে এক্সপার্ট তখুনি ঠিকভাবে পরিপূর্ণ প্রোফাইল বানাবেন। ঠিকমত না বানালে একাউন্ট সাসপেন্ড করে দিবে। এই নাম দিয়ে এবং আপনার বিভিন্ন ডিটেইলস ব্যবহার করেও আপওয়ার্কে আর জীবনে কাজ করতে পাররেন না। আপওয়ার্ক ফেসবুকের মত না যে যখন মনচায় একাউন্ট খুললাম আর স্পামিং করলাম।
আরও পড়ুনঃ পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং – আউটসোর্সিং এর কাজ করে বাড়তি উপার্জন করুন।
আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে । আপনি কি? এই তথ্যগুলো আগে থেকেই জানতেন? কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। লেখাটি ভাল লেগে থাকলে বন্দুদের মাঝে শেয়ার করুন ।আপনি কোন, বিষয়ে জানতে চান অথবা ভাল পরামর্শ দানে কমেন্ট করুন ।ধন্যবাদ!
আমাদের যোগাযোগের মাধ্যমঃ
Facebook Page YouTube Channel