একটানা কম্পিউটার বা মোবাইলে কাজ, চোখের সুরক্ষায় যা করণীয়

Share Now!

চোখের সুরক্ষা

চোখের সুরক্ষা – বর্তমান ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে, Digital Device ব্যবহার না করে থাকতে পারবেন না। এই Pandemic Situation এ সব কাজ এখন online ভিত্তিক হয়ে গেছে, অনেকেই বাসা থেকেই অফিস করছেন। এটা ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণেই সম্ভব হয়েছে।

কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য এই  ডিজিটাল ডিভাইস তথা  কম্পিউটারের স্ক্রিন বা মোবাইলের সামনে বসে থাকলে, এতে আমাদের চোখে অনেক ধরনের প্রবেম হয়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে উত্তোলনের প্রাথমিক কাজ হল,  লেন্স ব্যবহার করা উচিত, যেগুলি নীল রশ্মি দূর করতে সক্ষম। এর জন্য অ্যান্টিগ্লেয়ার গ্লাস বা ব্লু কাট লেন্স একটি ভালো বিকল্প। যার কারণে সরাসরি আলো চোখের উপর পড়ার পরিবর্তে Reflect হয়ে ফিরে যায়। 

তো চলুন দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিতঃ

একটানা কম্পিউটার বা মোবাইলে কাজ, চোখের সুরক্ষায় যা করণীয়

দৈনন্দিন জীবনের বেশিরভাগ কাজই আজকাল প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে করোনা মহামারির কারণে শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, সবারই পড়াশোনা, খেলাধুলা, বিনোদন ও কাজকর্ম সব কিছুই এখন অনলাইন নির্ভর। তাই তো দিনের অনেকটা সময় কাটাতে হয় কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখ প্রত্যেকটা প্রাণীর জন্য অমূল্য সম্পদ। এই কারনে আমাদের কম্পিউটার স্ক্রিন এবং মোবাইল থেকে চোখ রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দীর্ঘ সময় স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে, চোখ শুষ্ক  ও লাল হয়ে যায়, চোখে আর ঘাড়ে ব্যথার সঙ্গে চোখে চুলকানি ও চোখ দিয়ে পানি পরে থাকে। এই সমস্যার নাম ‘সিভিএস’ অর্থাৎ কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম। এই ব্যাপারটা গুরুত দিতে হবে, তা না হলে টানা এ ধরনের সমস্যায় দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা মোবাইল থেকে বের হওয়া নীল রশ্মির কারণে চোখে শুষ্কতা দেখা দেয়। তবে মোবাইল বা ল্যাপটপের মতো অন্য কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করার সময় কিছু ব্যবস্থা নিলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 

 

জেনে নেওয়া যাক, চোখের যত্নে করণীয় বিষয়ঃ

  • চোখের পলক ফেলুন: অনেকেই স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় এতটা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে থাকেন, যার ফলে চোখের পলক ফেলতে ভুলে যান। এই কারনে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। এ কারণে চোখ সুরক্ষিত রাখতে, বারবার চোখের পলক ফেলুন।
  • কাজ থেকে প্রায়ই বিরতি নিন। ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চলতে পারেন। প্রতি ২০ মিনিট পরপর ডিসপ্লে থেকে অন্তত ২০ ফুট দূরে কোথাও ২০ সেকেন্ডের জন্য তাকিয়ে থাকুন। প্রয়োজনে ডিসপ্লে র পাশে লিখে রাখুন
  • ঘরের লাইটিং কিংবা কম্পিউটারের অবস্থান বদলে মনিটরে আলোর প্রতিফলন কমানোর চেষ্টা করুন।চোখের আরামকে প্রাধান্য দিয়ে মনিটরের ব্রাইটনেস ও কনট্রাস্ট পরিবর্তন করে দেখুন কোনটা আপনার জন্য মানানসই।
  • একটানা কাজ করবেন না। প্রতি ১-২ ঘণ্টা অন্তর একটা ছোট্ট করে বিরতি নিন। তবে, সেই সময়টা আবার মোবাইলে তাকাবেন না, জানলা দিয়ে বাইরের তাকাতে পারেন অথবা চোখ বুজে একটু শুয়ে থাকতে পারেন অথবা ছাদ বা ব্যালকনি থেকে ঘুরেও আসতে পারেন। মিনিট ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিয়ে ফের কাজে শুরু করুন। এতে যেমন স্ক্রিনের নীল আলো থেকে চোখ বিশ্রাম পাবে, তেমনই পিঠ, কোমর, ঘাড়ে বাথার মতো সমস্যাও দুর হবে।
  • মোবাইলের স্ক্রিন বা ল্যাপটপের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন, শুধু কম্পিউটারই নয়, মোবাইল, ট্যাবলেট বা আইপ্যাড ব্যবহার করেও একই সমস্যা দেখা যায়। তাই কম্পিউটার ও মোবাইলের স্ক্রিন যেন অতিরিক্ত উজ্জ্বল না হয় সেজন্য আলো কমিয়ে রাখুন।
  •  মাঝে মাঝে চোখে পানির ঝাপটা দিন। সারাদিনে ১০ থেকে ১৫ বার চোখে পানির ঝাপটা দিন। তাতে চোখ ঠাণ্ডা থাকে। চোখ আর্দ্র হয় ও রক্তসঞ্চালন বাড়ে। তবে একদম ঠাণ্ডা বা মাত্রাতিরিক্ত গরম পানি দেবেন না চোখে
  • পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। সারাদিনের কাজের পর অন্তত (৬~৭) ঘণ্টা ঘুম জরুরি। খেয়াল রাখুন রাতে ঘুমের এক ঘণ্টা আগে ফোন বা ল্যাপটপ বন্ধ করে দিন। 
  • প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি, বাদাম, কমলালেবু খেতে পারেন। এসব খাবার চোখের কর্নিয়া ভালো রাখে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.