হজরত নূহ (আ:) এর জীবনী এবং আমাদের শিক্ষা | Life of Nuh and Lessons from it | মিজানুর রহমান আজহারি

Share Now!


হজরত নূহ (আ:) এর জীবনী – ২৫ পর্বের ধারাবাহিক প্রফেট সিরিজের আজ থাকছে ২য় পর্ব। দ্বিতীয় পর্বে আমরা আলোচনা করেছি— “ হজরত  নূহ (আ:) এর জীবনী এবং আমাদের শিক্ষা ” | “Life of Nuh and Lessons from it” এ বিষয়ে।

হজরত  নূহ (আ:) এর জীবনী এবং আমাদের শিক্ষা

হজরত আদম (আঃ) থেকে হজরত নূহ (আঃ) পর্যন্ত দশ শতাব্দীর ব্যবধান ছিল। যার শেষদিকে ক্রমবর্ধমান মানবকুলে শিরক ও কুসংস্কারের আবির্ভাব ঘটে এবং তা বিস্তৃতি লাভ করে। ফলে তাদের সংশোধনের জন্য আল্লাহ, হজরত নূহ (আঃ) কে নবী ও রাসূল করে পাঠান।

আরও পড়ুনঃ হযরত আদম (আঃ) এর জীবনী | Life of Adam and Lessons from it (2021) | মিজানুর রহমান আজহারি

তিনি সাড়ে নয়শত বছরের দীর্ঘ বয়স লাভ করেছিলেন এবং সারা জীবন পথভোলা মানুষকে পথে আনার জন্য দাওয়াতে অতিবাহিত করেন। কিন্তু তাঁর কওম তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে। ফলে আল্লাহর গযবে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

এরপরে আরও কয়েকটি কওম আল্লাহর অবাধ্যতার কারণে পরপর ধ্বংস হয়। এভাবে পৃথিবীতে আদি যুগে ধ্বংসপ্রাপ্ত ৬টি জাতির ঘটনা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে এবং কুরআনের মাধ্যমেই জগদ্বাসী তাদের খবর জানতে পেরেছে।

যাতে মুসলিম উম্মাহ ও পৃথিবীবাসী তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। উক্ত ৬টি জাতি হ’ল- কওমে নূহ, ‘আদ, ছামূদ, কওমে লূত, মাদইয়ান ও কওমে ফেরাঊন।

আরও পড়ুনঃ মাজহাব মানেই কি বিভক্তি? | মিজানুর রহমান আজহারি

অবশ্য কুরআনে এ তালিকায় কওমে ইবরাহীমের কথাও এসেছে (তওবাহ ৯/৭০)। যদিও তারা একত্রে ধ্বংস হয়নি। তবে ইবরাহীমের ভাতিজা লূত-এর কওম একত্রে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন হয়েছিল। আমরা এখানে প্রথমে হজরত নূহ (আঃ) ও তাঁর কওম সম্পর্কে আলোচনা করব। 

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.